মিশু মল্লিক ॥
জরায়ুমুখ ক্যান্সার (সার্ভিক্যাল ক্যান্সার) প্রতিরোধে ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা নিশ্চিত করতে ১৮ দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রাঙামাটির ৯৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৭ হাজার ৯০০ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পেইন সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, জরায়ুমুখের ক্যান্সার একটি ভয়ংকর রোগ। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে সরকার কিশোরীদের মাঝে এই টিকাদানের উদ্যেগ গ্রহণ করেছে। বেসরকারিভাবে এই টিকা গ্রহণ ব্যয় সাপেক্ষ, তাই সরকার দেশের সকল কিশোরীদের মাঝে এই টিকা গ্রহণ ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, রাঙামাটির ১০টি উপজেলা ও একটি পৌরসভার ৯৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার ৯০০ জনকে এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ১২ হাজারের মত কিশোরী এই টিকা গ্রহণের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ, রাঙাামটি রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা।