নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙামাটি জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নে জায়গা ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি দাবি করে সমিতির উন্নয়নকল্পে জায়গা ক্রয় করা হলেও একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচণায় সমিতির কিছু সদস্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। মূলত নির্বাচনে একটি গোষ্ঠী হারার পর থেকেই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে দাবি করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সমিতির উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন কাজ করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সমিতির ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘাগড়া এলাকায় দুই একর জায়গা ক্রয় করি। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির মাধ্যমে আমরা এই জায়গা ক্রয় করি। এবং এখানে কোনও দুর্নীতি করা হয়নি। ক্রয়কৃত ভূমি কাজে লাগিয়ে সমিতির উন্নতি করলে সাধারণ সদস্যদের আমাদের প্রতি আস্থা বেড়ে যাবে, এমন ধারণা থেকে এবং আমাদের অপদস্থ করার জন্যই জায়গা ক্রয়ে দুর্নীতি হয়েছে, এমন ভুয়া ও বানোয়াট খবর সাধারণ সদস্যদের রটিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে কুচক্রী মহল। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পরাজিত কয়েক সদস্য বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় জায়গা ক্রয় নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে থাকে। এতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল অটোরিক্সা শ্রমিক ও বহিরাগত ভাড়াটে ব্যক্তি অত্র সংগঠনের কার্যালয়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় এসে অতর্কিতভাবে হামলা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সমিতির সদস্যরা জায়গা ক্রয়ে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এছাড়া ভূমি ক্রয়ে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগের ফলে আমরা জায়গাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই। ইতোমধ্যে দুই একরের মধ্যে এক একর জায়গা ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে বিক্রি করেছি, বাকি এক একরও বিক্রির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি নি¤œমানের কোনও জায়গা ক্রয় করতাম, তাহলে তাৎক্ষণিক ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এক একর বিক্রি করতে পারতাম না। এই জায়গা যদি আমরা রেখে দিতে পারতাম, তাহলে যখনই বিক্রি কিংবা যাই করি না কেন সমিতির লাভ ছাড়া কোনওভাবেই লোকসান হতো না। তারপরও যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাই আমরা সমিতির বৃহত্তর স্বার্থে জায়গা বিক্রি করে দিচ্ছি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সদ্য পদত্যাগ করা যুগ্ম সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, আমি ১৭জন সদস্য ভর্তির টাকা সাধারণ সম্পাদককে দিলেও তিনি এখনো কোনও পদক্ষেপ নেননি। এইসময় তিনি টাকা দেয়ার কাগজ প্রদর্শন করেন। এর প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, যাদের টাকা পাওয়া গেছে, তাদেরকে সমিতিতে ভর্তি করানো হবে।
সংবাদ সম্মেনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার, সহ সভাপতি আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল মিয়া, অর্থ সম্পাদক অজিত দাশ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক ইউনুচ মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।