দেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধান অমান্য করে ‘আদিবাসী’ প্রোগ্রামে অংশ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। বুধবার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে ৪দিনব্যাপী বিজু উদযাপন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে অন্তর্বতীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাষ্ট্রের বিপক্ষে গিয়ে সংবিধান পরিপন্থি কাজ করেছেন। স্বয়ং রাষ্ট্র বলছে পাহাড়ে কোন ‘আদিবাসী’ নাই, তাহলে তিনি রাষ্ট্রীয় চেয়ারে বসে কি ভাবে ‘আদিবাসী’ প্রোগ্রামে যায় এ নিয়ে প্রশ্ন ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় জনমনে।
এখানে বিজু, সাংগ্রাই উৎসব নাম দিয়ে ব্যানার, ফেস্টুনে লিখা হয়েছে আদিবাসী জুম্ম জাতির অস্থিত্ব নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে অধিকতর সামিল হও। এখানে এই শ্লোগান আসবে কেন? উৎসব আর আন্দোলন তো এক জিনিস নয়। বিজু উৎসবের নামে কেন আদিবাসী আন্দোলন? আর এখানে আদিবাসী অসাংবিধানিক একটি শব্দ কেন ব্যবহার করা হয়েছে। এই নিয়ে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন মহলের মধ্যে নানান টানাপোঁড়ন দেখা যাচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ের অনেক স্থানীয় সচেতন সমমনা সংগঠনগুলো। উৎসবের নামে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো, আর এতে পা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আদিবাসী’ বলে কোন শব্দ নেই। বাংলাদেশে উপজাতিরা আসে ১৭২৭ থেকে ১৭৪০ সালের মধ্যে, সুতরাং তারা আদিবাসীর সংজ্ঞায় পড়েন না। ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তিতে (খ) নং ধারার ১নং উপধারায় বলা হয়, ‘উপজাতি শব্দটি বলবৎ থাকিবে।’ সেখানে আদিবাসী শব্দটি একবারও উল্লেখ করা হয়নি। বাঙালি-উপজাতি আমরা সবাই বাংলাদেশি।
আলমগীর হোসেন আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই, পার্বত্য চুক্তিতেও আদিবাসী নেই, তারপরেও যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করছে, আদিবাসী নাম দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে প্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে, তারা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। আমরা এর প্রতিবাদ এবং এসব ব্যক্তিদের বিষয়ে রাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।(বিজ্ঞপ্তি)