জয়নাল আবেদীন, কাউখালী
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মস্থংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পারিবারিক সহযোগীতা প্রদানে উপকরণ হিসেবে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে (কাউখালী মিনি মৎস্য হ্যাচারী) ১৪ জন জেলের মাঝে ৪ টি করে মোট ৫৬ টি ছাগর বিতরণ করা হয়।
কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মো. জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংপ্রু মার্মা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ডা: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাঙ্গামাটি সদর এর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, শেখ মো. এরশাদ বিন শহীদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প রাঙ্গামাটি এর সহকারী পরিচালক, মো. তোফাজ্জল হোসেন ফাহিম, ক্ষেত্র সহকারী প্রদীপ কুমার দে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ছাগল লালন পাগলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সঠিক ভাবে ছাগল পালনে সাবলম্বী হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস বলেন, রাঙ্গামাটি সহ পার্বত্য অঞ্চলের মৎস্য চাষ ও মৎস্যজীবিদের জীবন মান উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে নিবন্ধিত জেলেরা যাতে শুধুমাত্র মাছ আহরণ এর উপরই নির্ভারশীল না থাকে তাই দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ভাবে পারিবারিক সহযোগীতা প্রদানে উপকরণ বিতরণ করে আসছি। সুবিধাভোগীরা যদি সঠিক ভাবে ছালগগুলো পরিচর্যা করে তাহলে বছর ঘুরতেই সুফল পেতে থাকবে তারা। এসময় তিনি ছাগল পালনে যেকোন পরার্শের জন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য আহবান জানান।