কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদীতে জেলেদের জালে দ্বিতীয় বারের মতো ধরা পড়লো বিদেশী প্রজাতির রাক্ষুসে সাকার মাউথ ক্যাটফিস। শুক্রবার চন্দ্রঘানা কেপিএম কয়লার ডিপু এলাকার কর্ণফুলি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঐ এলাকার আবির মল্লিক শুভর জালে এই মাছ ধরা পড়ে। এর আগে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি কাপ্তাইয়ের শিলছড়ির সীতাঘাট এলাকায় মাছ ধরার সময় ঐ এলাকার জেলে মোঃ রহমত আলীর জালে এই মাছটি প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে।
আবির মল্লিক শুভ জানান, আমি ও আমার আরো তিন বন্ধু কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আজ সকালে এই মাছটি আমাদের জালে পাই। পরে জানতে পারলাম এটা নিষিদ্ধ মাছ। আমরা সেটা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এর কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
কাপ্তাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, সাকার মাছের পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। সাকার মাউথ ক্যাটফিশ দেশীয় প্রজাতির জন্য হুমকি এবং নদীর তলদেশের জলজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
গত ১৫ জানুয়ারি সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর আইন অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে দেশে চুড়ান্তভাবে এই মাছ আমদানী, বিপণন, বংশ বিস্তার এবং চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এই মাছটিকে। দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো। ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়। সাকার ফিশ প্রচুর পরিমাণে খাবার ভক্ষণ করে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্যের জোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের।