নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শারদীয় উৎসবের ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও পড়েছে চরম বিপাকে। টানা বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কাও।
আজ মঙ্গলবার সূর্যের দেখাও মেলেনি জেলায়। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে সোমবার থেকে জেলার সাতটি উপজেলায় মুসল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুড়ি গুড়ি, কখনো মুসলধারে বৃষ্টি হওয়ায় কাদা মাটিতে পিচ্ছিল হয়ে গেছে অভ্যন্তরিন সড়কগুলো। এদিকে শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ছুটিতে বান্দরবান জেলায় বেড়াতে আসা পর্যটকরাও বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টিতে দূরদূরান্তের দর্শণীয় স্থানগুলো দেখতে যেতে পারেনি পর্যটকরা।
ভ্রমণকারী পর্যটক সোহেল মাহমুদ, সাব্বির, সুজানা আরও অনেকে বলেন, মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টিতে ভ্রমণের আনন্দটা অনেকটায় ম্লান হয়ে গেলো। মেঘলা ও নীলাচল ছাড়া অন্যস্পটগুলোতে যাওয়া হয়নি বৃষ্টিতে। শৈল প্রপাতে গেলেও বৃষ্টিতে পিচ্ছিল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠায় ঘুরে দেখতে পারিনি ঠিকমত। তবে পাহাড়ের বৃষ্টিতে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছি।
বান্দরবান হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শারদীয় উৎসবের ছুটিতে পর্যটকরা ভীড় জমিয়েছিল বান্দরবান। সরব হয়ে উঠেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেড়াতে আসা পর্যটকরা হোটেল বন্দি। আশপাশের দর্শণীয় স্থানগুলোও ঠিকমত ঘুরে বেড়াতে পারেনি।
মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকে বান্দরবান জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। ভোররাতে ভারী বর্ষণ হয়েছিল। সকাল থেকে থেমে থেমে কখনো মুসল ধারে, কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে। সকলকে ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের।