নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর আঘাতে ঝড় বাতাসে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা, বিদ্যুতের খুটি এবং ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো জেলায়। আজ বুধবার বিকালে তিনটার সময় ত্রুটিপূর্ন লাইন মেরামতের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়।
প্রশাসন’সহ সংশ্লিষ্টরা জানায়, মঙ্গলবাররাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আঘাতে বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়কের বি়ভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। এতে বান্দরবান-দোহাজারি প্রধান বিদ্যুত সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবাররাত এগারোটা থেকে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলার সাতটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারমধ্যে জেলার ভান্ডারী পাড়া, চাকমা পাড়া, যৌথখামার, মেঘলা’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পেঁপে বাগান, ঘরবাড়ি, খেত খামার সবচেয়ে বেশি লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত উল্লা মিয়া, জানে আলম বলেন, হঠাৎ রাতের বেলায় এগারো থেকে বারোটার সময় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ো বাতাসের ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পেঁপে ও কলা বাগানের গাছপালা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ঘরের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে মারা যায়নি কেউ।
বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম আমির জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বান্দরবান-দোহাজারি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে গাছপালা ়ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুতের খুটি ও সরবরাহ লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় ১৬ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়। শতভাগ স্বাভাবিক করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় বিভিন্নস্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণহাণির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।