নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে আটক হয়েছে টাঙ্গাইলের বাবা ও ছেলে। প্রতারণার অভিযোগে উভয়কেই জেল দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে নাম সর্বস্ব বিভিন্ন ব্রান্ডের ঔষধ।
ঘটনাটি রবিবার দুপুরে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগান এলাকায়। আটকরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নকদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. হারুন সওদাগর (৫২) এবং তাঁর ছেলে রাকিব হাসান (২৪)।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুনুর রশীদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। তখন আটকরা ঘটনাস্থল কাঁঠালপাড়া পাড়াকেন্দ্রে স্থানীয় রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন। তাঁরা নিজেদের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের ব্যাবস্থাপত্র লিখে নিজেদের সরবরাহ করা ঔষুধও কমমূল্যে বিক্রয় করছিলেন রোগীদের নিকট। ভ্রাম্যমান আদালত তাদের আটকের পর তারা আদালতের নিকট স্বীকারোক্তি দেন যে বাবা হারুন সওদাগর নবম শ্রেণী পাশ এবং ছেলে রাকিব হাসান এসএসসি পাশ। চিকিৎসা বিদ্যায় তাদের কোন পড়াশুনা নেই। এর আগে তারা দুজনেই নিজ জেলার বিভিন্ন এলাকায় জুতার ব্যবসা করতেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক দুইজনের মধ্যে বাবা হারুনকে একমাসের এবং ছেলে রাকিব হাসানকে পনের দিনের জেল দেয়া হয়েছে।