রাজস্থলী প্রতিনিধি ॥
রাজস্থলীতে টানা বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বহু মৎস্য চাষীদের তিলে তিলে গড়ে তোলা মাছের প্রজেক্ট এবং পুকুরের পানি পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন স্থানের রাস্তাঘাট, পুকুর-জলাশয়। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অনেকের উঠানে এমনকি ঘর বাড়িতেও পানি উঠে যাওয়ায় দুর্ভোগ পড়েছে অনেকেই। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পানি নিষ্কাশনে নেট-পাটা অপসারণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।
গত বৃহস্পতিবার থেকে লঘুচাপের প্রভাবে অত্র উপজেলার সবখানে টানা চারদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পর ৫ম দিনে ভোররাতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এতে সবুজ প্রকৃতি সতেজতা ফিরে পেলেও ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি ও দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের মাঝে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে ইউনিয়নের বহু মৎস্যঘের ভেসে গেছে। কাঁচা রাস্তা নষ্ট হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হওয়াসহ অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের মাটির ঘর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বাজারে দোকানপাটে পানি উঠে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা দেখা দিয়েছে।
বাঙ্গালহালিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মনচুর বলেন, বাজারে অনেক ব্যবসায়ীর দোকানে পানি প্রবেশ করে মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরো বলেন, প্রবল বর্ষণে কাদামাটি ও নোংরা পানিতে বাজারে আসা ক্রেতাসহ দোকানীদের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউনিয়নের পাশাপাশি বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
টানা বৃষ্টিতে যে পানি জমেছে তা নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নাই। শিক্ষার্থী সুইমং মারমা জানান, বাড়ির সামনে জমে থাকা পানি পাড়ি দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে হচ্ছে।
উপজেলার স্কুলের আশপাশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাঙালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা জানান, যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা ছিলো সেসব এলাকার খালের নেট-পাটা অপসারণ আগেই করা হয়েছে।