নিজস্ব প্রতিবেদক,লংগদু
বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে যখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা তখন অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য। জুলাই মাস থেকে টিসিবির নিয়মিত পন্য তেল ও ডালের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে চাল। যার ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা।
সারাদেশের সাথে পাহাড়ি উপজেলা রাঙামাটির লংগদুতেও টিসিবির পন্য ক্রয়ের উপকারভোগীর সংখ্যা এখন বারো হাজার বিশ পরিবার। যাদের সবাই প্রান্তিক ও নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। এসব উপকারভোগীরা প্রতিমাসে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের পনেরটি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পন্য সংগ্রহ করতে পারছেন বলে জানান লংগদু উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে লংগদু সদর ইউনিয়নের একটি বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডিলার জাবেদ উদ্দিনসহ তার কর্মীরা ক্রেতাদের মাঝে পন্য বিতরনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ডিলার জাবেদ উদ্দিন জানান, তেল ও ডালের সাথে এমাস থেকেই যুক্ত হয়েছে চাল। তবে ক্রেতাদের প্রতিজনকে পাঁচ কেজি হারে চাল দিতে গিয়ে সময় কিছুটা বেশি যাচ্ছে। কারণ চাল পেয়েছি ৫০ কেজি বস্তায়। ফলে পণ্য নিতে আসা ক্রেতাদের মাঝে সঠিক মাপে দিতে সময় লাগছে। এছাড়া তেল ও ডালের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নাই। চেষ্টা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে পন্য বুঝিয়ে দিতে। এই কেন্দ্র থেকে তেল দুই লিটার, ডাল দুই কেজি ও পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে লাগছে চারশ সত্তর টাকা। যা বাজার মূল্য থেকে তিনশ টাকার বেশি সাশ্রয়ী।
উপকারভোগী আব্দুল বারেক বলেন, প্রতিমাসে টিসিবির পন্য কিনতে পেরে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে। বাজারের চাইতে অনেক কম দামে আমরা কিনতে পারছি। তবে সারা বছর এই ব্যবস্থা চালু থাকলে সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে। উপকারভোগী কালোদেবী চাকমা বলেন, বাজারে তেল, ডাল ও চালের দাম অনেক বেশি। টিসিবি থেকে কিনলে অনেক সস্তা। গরীব মানুষের জন্য সরকার এই ব্যবস্থা করে অনেক উপকার করেছে।
এ বিষয়ে লংগদু সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলেন, টিসিবির মাধ্যমে পন্য বিক্রয়ের সরকারি এই ব্যবস্থার জন্য মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের বিশাল উপকার হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সাধারন মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান বলেন, সারা দেশে এক কোটি নি¤œ আয়ের পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে বাজার মূল্য থেকে কম দামে পন্য ক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন সরকার। সরকারের এই সুবিধা লংগদু উপজেলার বারো হাজার বিশটি পরিবারও পাচ্ছে। লংগদু উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্র থেকে উপকারভোগীরা পন্য ক্রয় করতে পারছেন। পণ্য বিতরণ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।