হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, রাজস্থলী ॥
উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ পেয়ে বদলে গেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের বেকার যুবক আছোমং মারমার জীবন। যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করা গরুর খামার এখন ৪০ লক্ষ টাকারও অধিক সম্পদে পরিণত হয়েছে।
তরুণ উদ্যোক্তা আছোমং মারমা জানান, ২০১৩ সালে আমি যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর এই খামার করার প্রতি অনেক আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু টাকার অভাবে খামার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে যুব উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অল্প ঋণ নিয়ে ছোট পরিসরে এই খামারটি শুরু করি। তিনটি গরু দিয়ে শুরু করার পর এখন আমার এই খামারে ২৭টি গরু রয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০ লক্ষ টাকার বেশি। এছাড়াও গত বছর আমি প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার গরু বিক্রি করি। এর পাশাপাশি ছাগল এবং শুকর পালন করেও আমার বাড়তি আয় আসছে।
রাজস্থলী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রিয়রতন চাকমা বলেন, পুরো উপজেলায় আছোমং মারমার গরুর খামারটি একমাত্র বৃহত্তম খামার। পাহাড়ের মানুষ হয়ে আছোমং মারমা যে উদ্যোগ নিয়েছেন এবং পরিশ্রম করছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। এছাড়াও আমরা তার এই কর্মকান্ডের জন্য জাতীয় যুব পুরস্কারের জন্য রাজস্থলী থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নোমান বলেন, আমরা তার গরুর খামার পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম প্রাকৃতিক পরিবেশে সে এই খামারটি গড়ে তুলেছে। এখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকায় খামারটি উপযুক্ত হয়েছে। এছাড়া সে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করছে।
বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, আমার ইউনিয়নের আছোমং মারমা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজ থেকে উদ্যোগী হয়ে আজ পুরো রাজস্থলী উপজেলার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে সে। বেকার যুবকদের তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা উচিত।