জিয়াউল জিয়া
রাঙামাটি শহরে হঠাৎ করেই মালিকবিহীন বা বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। গত তিন দিনে এসব কুকুরের কামড়ে অর্ধশতাধিক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের গিয়ে এসব রোগীদের ভ্যাকসিন নিতে ভিড় দেখা গেছে। কয়েকজনকে হাসপাাতালে ভর্তি থেকেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হঠাৎ করে এসব কুকুরের উৎপাত এভাবে বেড়ে যাওয়ায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ থেকে ২৬ তারিখ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগ থেকে ৬৫ জন রোগী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে কুকুরর কামড়ে আক্রান্ত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ভ্যাকসিন সংকটও দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ রোগীদের। তারা জানিয়েছেন পথে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছন থেকে কামড় দিচ্ছে কুকুরগুলো। পথে হাঁটাই অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে চম্পকনগর, ট্রাইবেল আদাম, কে কে রায় সড়ক, দেবাশীষ নগর, কল্যাণপুর, কলেজ গেট, ভেদভেদী, রাঙাপানি, ২ নম্বর পাথরঘাটা, রিজার্ভবাজার, আসামবস্তি ও তবলছড়িসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও রয়েছেন
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর জানান, গত তিন দিনে ৬৫ জন রোগী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন সংকট না থাকলেও এভাবে এক সপ্তাহ রোগী বাড়তে থাকলে সংকট দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে কী কারণে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, এটি ভাবনার বিষয়।
পৌরসভা এলাকায় মালিকবিহীন বা বেওয়ারিশ কুকুর দেখভাল করে থাকে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার। এ ছাড়া বেওয়ারিশ কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি চালানো হয়। এ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সহযোগিতা করে থাকে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হক জানান, কুকুরের কামড়ে অনেকে আক্রান্ত রয়েছে বিষয়টি জেলা প্রশাসক বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে পৌরসভা আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।