রাকিব খান
জীবন যুদ্ধের কড়া রোদে বটবৃক্ষের মতো সবসময় যে আমায় ছায়া দিয়েছে সে আমার মা, হাজারো প্রতিকূল পরিবেশে যখন আমার প্রিয়জন আমার থেকে দূরে চলে যায় বন্ধুর মতো আমায় সান্ত¦না দিয়েছিলো মা, কারণে অকারণে ঝগড়ার পর বাসায় যখন বিচার আসতো হাজার দোষের মাঝে সবার বিপরীতে আমাকে নির্দোশ বলা আমার মা, কোথাও গেলে সকালে নাস্তার শুরু থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত মোবাইলের রিংটোন আমার মা, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলাম সেই অসুস্থ থেকে আজ সুস্থ হওয়ার একমাত্র ওষুধ আমার মা, রাতে বাসায় আসতে দেরি হলে নির্ঘুম জোনাকির সাথে আমার জন্য জেগে থাকা আমার মা, আমার আগামীর পথচলা, আমার খারাপ অতীত ভুলে থাকা, আমার নানান বায়না পূরণ করা, আমার প্রতিটি কিছু মেনে নেওয়া আমার মা। এইসব কথা সরাসরি কখনো বলা হয়নি মা তোমাকে। তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। এভাবে হাজার বছর বেঁচে থাকো মা তুমি, তোমার জন্য আজও শক্তপায়ে দাঁড়িয়ে আছি, তোমার ছেলে আমি।
মা অতুলনীয় অমূল্য এক সম্পদ। যার কাছে এই সম্পদ আছে সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী আর যার নেই সে পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী হয়েও গরীব। মাকে নিয়ে লেখে শেষ করা যাবে না। আমি মায়ের মুখ, মায়ের হাসি, মায়ের সুমধুর কন্ঠস্বর সবি মিস করি। গত ২৪টি বছর ধরে মাকে মা ডাকা হয় না আমার। সবাই যখন নীড়ে ফিরে মায়ের আঁচলে মুখ লুকান তখন আমি মায়ের রেখে যাওয়া জিনিসপত্রের মাঝে মাকে খুঁজি ফিরি। আমার মা ছিলেন খুব সাধারণ একজন মানুষ। নিজের মতো করে আগলে রেখেছিলেন আমাদের।