অনুপম মারমা, থানচি
বান্দরবানে থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল প্রশাসন। শনিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতির রেশ ধরে আড়াই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল থানচিতে। তবে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় এখনও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
শনিবার সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা প্রশাসন।
থানচি ইউএনও মোহাম্মদ মামুন শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, রোববার থেকে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদিত পর্যটন স্পটে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। শনিবার সকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, হোটেল মালিক সমিতি ও পর্যটক গাইড সমিতি প্রতিনিধি সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পর্যটকরা তিন্দুর বড় পাথর, রেমাক্রি ও তমা তঙ্গী পর্যটন স্পটে যেতে পারবে। নিরাপত্তার কারণে এর বাইরে যাওয়া যাবে না। গাইড সমিতির প্রতিনিধিদের বলে দেওয়া হয়েছে কোথায় যেতে পারবে আর কোথায় যেতে পারবে না।
থানচি পর্যটক গাইড শিমিয়ন ত্রিপুরা ও মংএ সা মারমা জানান, পর্যটক গাইড সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটন খোলার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। তিন মাসের কাছাকাছি সব পর্যটন স্পট বন্ধ ছিল। যদিও এখন বর্ষাকাল। পর্যটক কম আসবে। তারপরও পাহাড়ে বর্ষাকেন্দ্রিক কিছু পর্যটক থাকে। যারাই ভ্রমণে আসুক আন্তরিক নিয়ে আমরা সেবা দেব।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ ইস্যু কেন্দ্র করে এর আগেও দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বান্দরবানে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদম এই চার উপজেলা। পরিস্থিতি ভাল হওয়ায় সব উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করে নিয়েছিল প্রশাসন।
কিন্তু ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি-অস্ত্র লুটের ঘটনায় রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে আবারও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। তবে আড়াই মাসের পর থানচিতে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও রোয়াংছড়ি ও রুমায় এখনও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।