থানচি প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানে থানচিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দুর্গম বড় মদক এলাকার গত রোববার আট বছরের এক মেয়ে জুম ঘরে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও তলপেটে ব্যাথা, ভাইরাস জ্বর, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শিশুদের নিউমোনিয়াসহ নানান রোগের আক্রান্ত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন পাড়া। হাট বাজারে বিভিন্ন ফার্মেন্সী দোকানে ঔষদের জন্য ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর গত ৬ দিনে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে ১১ জন ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা পেয়ে ২ জন বাড়িতে ফিরে গেছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা সরেজমিনে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডিউটিরত সিনিয়র নার্স উর্মি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন জুলাই মাসের ১ তারিখ হতে ৬ তারিখ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া ১১ জন, ডায়রিয়া ৫ জন, ভাইরাস জ্বরের ৮ জন, তলপেটে ব্যাথায় একজনসহ নানান রোগে মোট ১০ জন ভর্তি হয়েছে। দুই জন আজ সুস্থ হয়ে ফিরে গেচ্ছে বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রেমাক্রী ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী মেম্বার উম্যাচিং মারমা বলেন, রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়ায় ৫/৬ জন জ্বরের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমার বড় মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত। বুধবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়েছে। গত নয়দিন ধরে সে অসুস্থ।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আরএমও ডা. সিহাম বলেন, পাহাড়ে আবহাওয়া পরিবর্তনে ভাইরাস জ্বর, তলপেটে যন্ত্রণা, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করার, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার পাশাপাশি তরলজাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ফলমূল খাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে।
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, গত বছর তুলনা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বাড়ছে তবে ডায়রিয়া কমছে। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ঔষধ সরবরাহ করেছি। এ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিজিবির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে।