অনুপম মারমা, থানচি
বান্দরবানের থানচিতে সীমান্ত এলাকায় খাদ্যসঙ্কটে থাকা পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও থানচি উপজেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরে ত্রাণ ভান্ডার হতে ¤্রাে ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১০০ পরিবারের জন্য জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রতি পরিবারের জন্য চাল ২০ কেজি, ডাল ২ কেজি, তৈল ২ লিটার, লবণ ২ কেজি করে থানচি বাজার নদীর ঘাট হতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ¤্রাে ছাত্র সংগঠন, লামা উপজেলা উগ্যথোয়াই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতি পরিবারের জন্য ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ লিটার তৈল, ৫ কেজি নাপ্পি, ৫ কেজি লবণসহ অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পানির বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, সাধারণ জ্বর, পেট ব্যাথাসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সংকট ও বাঁশ কোড়ল খেয়ে বেঁচে থাকায় শতাধিক পরিবারের মাঝে গত এক সপ্তাহের বিতরণ সম্পন্ন করেছে বলে
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শেষে রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি বলেন, আমাদের ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গম বুলু ¤্রাে পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে শতাধিক পরিবার গত বছরে আবাহওয়া অনুকুলে না থাকায় জুমের ধান ভালো ফলন হয়নি। দুর্গম ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের কর্তব্যরত জনপ্রতিনিধিরা সময় মতো জানতে পারিনি। আমরা হঠাৎ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারার পর প্রশাসনকে অবহিত করি।
যোগাযোগ করা হলে মেনহাত ¤্রাে কারবারী ও বুলু ¤্রাে কারবারী বলেন, আমরা জুমের অপরিপক্ক ধানকে পরিপক্ক করার জন্য পরিবারের সকলকে নিয়ে জুমের পরিচর্যা কাজের ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করে থানচি উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম আমাদের গ্রামে পৌঁছুলে তাকে অবহিত করি। তিনি চলে যাওয়ার একদিন পর চেয়ারম্যান মেম্বার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা আমাদের সহায়তা দিতে আসে। এখন আমরা বাঁশ কোড়ল বদলে ভাত খেতে পারছি। যে পরিমাণ পেয়েছে জুমের ধান পরিপক্ক হওয়ার পর্যন্ত টিকে থাকার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ মামুন বলেন, সংবাদমাধ্যমে খবর পাওয়ার পর আমরা খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছি।
থানচিতে দুর্গম এলাকাগুলো নেটওর্য়াক না থাকার আমরা সময়মতো খবর পায়নি। তারপর ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে আমি জনপ্রতিনিধি সাথে যোগাযোগ করে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসন্ন জুমের ধান কাটা পর্যন্ত তাদের খাদ্য এবং শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ তাদের নাগরিক সেবা দিয়ে যাবো।