নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা ॥
জেলার দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি না হলেও সড়কের বিভিন্ন জায়গা ডুবে থাকায় দীঘিনালার সাথে সাজেক ও লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে দীঘিনালা সেনাজোনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে উপজেলা সদরসহ কবাখালি ইউনিয়নের কিছু অংশে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে মেরুং ইউনিয়নের অনেক এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাইনি নদীর তীরবর্তী উজানের অংশে পানি কমতে শুরু করলে ভাটির দিকে পানি বেড়ে যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কবাখালি বাজার এলাকার সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। তবে সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং বাজার এলাকার সড়ক ডুবে থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে লংগদু সড়কের বেতছড়ি, বড়মেরুং, ছোটমেরুং বাজার এবং দাঙ্গাবাজার এলাকার সড়কে পানি না কমার কারণে লংগদুর সাথেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ছোটমেরুং বাজারসহ নি¤œাঞ্চলের ৫শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি পানির নিচে।
কবাখালি ইউপি চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জানান, ৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এর মধ্যে যেসব এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে তাদের কেহ কেহ ফিরে যাচ্ছেন। তবে সম্পূর্ন পানি কমতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বন্যা কবলিত এলাকার অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। এছাড়া ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২০পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রিতদের মাঝে খিঁচুড়ি রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে। লাকি আরো জানান, মেরুং এলাকার পানি কমেনি বরং মঙ্গলবার পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।