জাকির হোসেন, দীঘিনালা ॥
জেলার দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন ফিড়ে গেছেন বাড়িতে। বন্ধ থাকা সড়কগুলোতেও যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে।
চারদিন বন্যা কবলিত হওয়ার পর আশ্রয় কেন্দ্রে থেকে ফিরে গেলেও কৃষকের কৃষি ও মৎস্য খাতের ব্যাপক ক্ষতি প্রভাব পড়বে স্থানীয় সকলের মাঝে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মৎস্য ও কৃষিতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০একর জায়গার আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে, যা টাকার পরিমানে প্রায় ১১লাখ টাকার ক্ষতি। আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৪২ একর জমির। তাতে ক্ষতি প্রায় ৬২ লাখ টাকার। কৃষির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে সব্জিতে। প্রায় ৮৫একর জমির সব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে শুধু সব্জিতে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপন চাকমা জানান, আমন ধান পুনরায় রোপণের সময় ও পরিবেশ রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন করে রোপণ করলে আমনের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠা সম্ভব। তবে, সব্জি আর আউশের ক্ষেত্রে সে সুযোগ হয়ে উঠবে না। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকসহ ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব পড়বে স্থানিয়দের মাঝেও।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্ণা চাকমা জানান, মেরুং ইউনিয়নে প্রায় ৩০০পুকুর ও কবাখালি ইউনিয়নে প্রায় ২০০পুকুর বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে ছিল। এসব পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার কারণে মৎস্য চাষিদের প্রায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।