নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে কর্মরত পাড়কর্মীরা ৩মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। চাকুরী কার্যক্রম চালু থাকলেও বেতন-ভাতা না পাওয়াতে সীমাহীন আর্থিক সংকটে দিন কাটছে উপজেলার ২৬৯ পাড়াকর্মীর পরিবারের।
ভূক্তভোগি পাড়াকর্মীরা জানান, জুলাই মাস থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। পাড়াকর্মীদের অধিকাংশ পরিবার দরিদ্র। পাড়াকেন্দ্রের বেতনটুকু তাদের পরিবারের সহায়ক। কিন্তু তিনমাস বেতন না পাওয়াতে সংকটে রয়েছেন তাঁরা। এদিকে বেতন-ভাতা বন্ধ থাকলেও পাড়াকেন্দ্রের কার্যক্রমও চালু রয়েছে। ফলে, যথা নিয়মে পাড়া কেন্দ্রে তাদের সময় দিতে হচ্ছে।
উপজেলার কাঁঠালতলি পাড়াকেন্দ্রের পাড়াকর্মী ডলি রানী বিশ্বাস জানান, তিনমাস বেতন না পাওয়ার কারণে স্বজনদের থেকে ধার-কর্জ্জ করে কোনমতে সংসার চালাচ্ছেন, সন্তানদের প্রাইভেট বেতন দিতে পারছেন না। বেতন না পাওয়ার কারণে একই অবস্থার কথা জানান মধ্যবেতছড়ি পাড়াকেন্দ্রের কর্মী নাসরিন আক্তারসহ অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ডের অধিনে ‘টেকসই সামাজিক সেবা’ প্রকল্পের আওতায় পাড়াকেন্দ্র। দীঘিনালায় ৩১৩ পাড়ার মধ্যে ২৬৯টি পাড়াকেন্দ্র রয়েছে।
পাড়াকেন্দ্রে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া হয়। পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি’ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। পাড়াকেন্দ্রগুলো নিয়োগ প্রাপ্ত পাড়াকর্মী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে পূনঃঅনুমোদন পূর্বক প্রকল্পটি চলমান রাখা হয়। এভাবেই চলছে শুরু থেকে। বরাবরের মতো পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। এর পর থেকে পাড়াকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু থাকলেও বেতন চালু হয়নি তিন মাসেও।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প ব্যাবস্থাপক মোঃ শহীদুল ইসলাম ভূইয়া জানান, বরাবরের মতো আবার নতুন প্রকল্প হিসেবে ডিপিডি (ডিমান্ড প্রজেক্ট প্রোগ্রাম) জমা দেওয়া হয়েছে। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।