জাকির হোসেন, দীঘিনালা
বুধবার মহান একুশে ফেব্রæয়ারী, ভাষা শহীদ দিবস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার জন্য বন্ধ, তবে খোলা ভাষা শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য। কিন্তু খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শতাধীক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। প্রাথমিক স্তরের সেসব বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীদেরও শহীদ মিনারের সাথে পরিচিতি হচ্ছেনা। অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিবস পালনে নির্দেশনা কর্তৃপক্ষের।
দীঘিনালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১২টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ১১টি বিদ্যালয়ে। আবার যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে সেগুলোও সংস্কারের অভাবে নাজুক দশায়।
দীঘিনালা-লংগদু সড়ক সংলগ্ন কালাচাঁদ মহাজান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৩ সালে, যা সরকারি করণ হয় ১৯৭৩ সালে। বিদ্যালয়ের ভবনটি পূন:নির্মান হয় ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে এখনো নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার। বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থী প্রান্তিকা চাকমা এবং চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থী রুপম চাকমা জানায়, একুশে ফেব্রæয়ারী তাই স্কুলে পড়ালেখা হবেনা, কিন্তু শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল খোলা। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃতি ও ভাষা শহীদদের নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা হবে।
ওই শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, স্কুলে শহীদ মিনার নাই, শহীদ মিনারের সাথে তাদের পরিচিতিও নাই স্কুলে শহীদ মিনার থাকলে ভালো হতো। একই অবস্থা উপজেলার অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোরও।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফ উদ্দিন বিপ্লব শতাধীক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমি দীঘিনালায় এসেছি মাত্র দুই মাস। এখানে ১১২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ১১টিতে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ্যের মাধ্যমে চেষ্টা করছি। আপাতত, বাঁশ, কাঠ দিয়ে হলেও অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদ দিবস পালন করার জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”