নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ২০২২সালে উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে দায়ের করা মামলাটি বুধবার বিকালে থানায় রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীঘিনালা থানায় দায়ের করা দ্বিতীয় মামলার নং-০৩, তারিখ-১৮-০৯-২০২৪। এর মাসখানেক আগে দীঘিনালা থানায় আকেটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বিএনপি কর্মী মো. কালু মিয়া। মামলা নং- ৩২, তারিখ ২৩-০৮-২০২৪।
২০১৪ সালে তার বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ এবং পরিবারের সসদ্যদের মারধর করে আহত করার অভিযোগে সে মামলা করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মো. কাশেমকে প্রধান আসামি করে ১৩৩ জন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় সে মামলাতে।
থানার দ্বিতীয় মামলাটিতে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মংস্ইুপ্রæ চৌধুরী অপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, সবেক পৌর মেয়র রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মো. কাশেমসহ ১১৮ জন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ২০২২সালে উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের প্রস্ততি সভায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করে। ভাঙচুর করা হয় উপজেলা বিএনপি’র প্রধান কার্যালয়সহ অনেক নেতা-কর্মীর বাড়ি-ঘর। তখন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের বাধায় থানায় মামলা করতেও যেতে পারেনি কেহ। তাই এখন মামলা করা হয়েছে, মামলায় এজাহারভূক্ত আসামিদের দ্রæত গ্রেফতারেরও দাবি জানান তিনি।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল হক মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যাচাই-বাছাই শেষে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।