জাকির হোসেন, দীঘিনালা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। চালু হয়নি সাজেক ও লংগদুর সাথে সড়ক যোগাযোগ। পানিবন্দি হয়ে আটকে পড়াদের বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার সারাদিন তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় কোনও কোনও এলাকায় ১-২ফুট পানি কমলেও বন্যা পরিস্তিতির সার্বিক কোনও উন্নতি হয়নি। এদিকে তারাবুনিয়া ও কবাখালিসহ কিছু জায়গায় পানিবন্দি হয়ে আটকে পরেন অনেক মানুষ। সেনাবাহিনী লংগদু থেকে স্পিডবোট সংগ্রহ করে আটকে পড়া ৩২০জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসে। উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেছে যুব রেড ক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউট সদস্যরা।
এর বাইরে সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত ৩৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ওমর ফারুক, পিএসসি। এসময় সাথে ছিলেন জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর রাজমুল হাসান রিজভী এবং অ্যাডজুটেন্ড ক্যাপ্টেন এম, এ, মোমেন শিহাব।
এদিকে বৃহস্পতিবার সারাদিন বন্যাদুর্গত এলাকায় ঘুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদ। একইভাবে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম সফি ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনের দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারো বন্যা কবলিত হয় দীঘিনালা। মেরুং, কবাখালি এবং বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়নে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে সাত শতাধিক মানুষ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ গ্রামের আট হাজার পরিবার।