জাকির হোসেন, দীঘিনালা
দীঘিনালার ছোটমেরুং বাজার থেকে বাঘাইছড়ির দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। ইটসলিং এ সড়ক পথে কম সময়ে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু সম্প্রতি সড়কটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙ্গে যান চলাচল অনুপযোগি হয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা সদর থকে পাকা সড়ক পথে বাঘাইছড়ির দূরত্ব ২৮কি.মি.। দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ১২ কি.মি.। মেরুং এলাকাবাসি পাকা সড়কে বাঘাইছড়ি পৌঁছতে পাড়ি দিতে হয় ৪০ কি.মি.। অপরদিকে মেরুং বাজার থেকে ইটসলিং সড়কে বাঘাইছড়ির দূরত্ব মাত্র ৬ কি.মি.। কিন্তু এ সড়ক পথে দীর্ঘ দিনেও যাতায়াত হয়নি মাঈনী নদীতে সেতু না থাকায়। ২০২২ সালের মার্চে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোটমেরুং বাজার এলাকায় মাঈনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ শেষ হলে সড়কটি সচল হয়। এর পর থেকে যান চলাচল বেড়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি ইটসলিং এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। কয়েকমাস আগে বটতলা নামক এলাকায় জিপ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়।
ছদকিছড়া পাড়া প্রধান (কার্বারি) এপেকশন চাকমা জানান, সে এলাকার পাঁচটি গ্রামের হাজারো পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক সেটি। সেখানকার শিক্ষার্থীদের কয়েক মাইল পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হলে ভাঙ্গা সড়কের কারণে রোগী নিয়ে চিকিৎসার জন্য দ্রæত হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, এই সড়ক দিয়ে মেরুং থেকে মোটর সাইকেলযোগে বাঘাইছড়ি পৌঁছতে সময় লাগতো মাত্র ১৫/২০ মিনিট। এখন পাকাসড়কে ঘুরে যেতে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে।