জয়নুল আবেদীন, কাউখালী ॥
কাউখালী উপজেলার দুর্গম একটি ইউনিয়ন ফটিকছড়ি। সড়ক পথে ইউনিয়ন পরিষদটিতে যেতে পাড়ি দিতে হয় চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও ফটিকছড়ি, এবং খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলা। পাকা রাস্তা শেষে আঁকা বাঁকা উচু নিচু মাটির পথও পাড়ি দিতে হয় ১৫ কিলোমিটারের মত।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের হাফ ডজন কর্মকর্তাদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই পরিদর্শনে সফরসঙ্গী ছিলেন এই প্রতিবেদকও।
পরিদর্শন উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হেডম্যান কার্বারিদের সাথে মত বিনিময় সভার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিকুর রহমান স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেন তাদের দুঃখ দুর্দশা ও অপ্রাপ্তির কথা। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতারা স্থানীয়দের অবহিত করেন তাদের দপ্তরের সেবা সমূহের কথা। উপজেলা প্রশাসনের এতগুলো কর্মকর্তাদের একসাথে আগমনে বেজায় খুশি উপস্থিত বাসিন্দারা।
মতবিনিময় সভার আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই শতাধিক পরিবারকে কম্বল বিতরণ করেন ইউএনও নিজ হাতেই। সারিবদ্ধ লাইনে গিয়ে নিজ হাতেই দুস্থদের হাতে তুলে দেন শীত নিবারণের কম্বল। বিতরণ শেষে মতবিনিময় সবায় বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সঠিক মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিতে পারা আনন্দের। দুর্গমতাকে জয় করে সরকারের সকল সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে উপজেলা প্রশাসনের।
মতবিনিময় সভা শেষে বর্মাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জনস্বাস্থ্যের অধীনে স্থাপিত নিরাপদ পানির টিউবওয়েল, সরকারি অর্থায়নে নির্মিত ক্লাব ঘর, কৃষি জমিতে সেচ ড্রেন নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন। ফেরার পথে স্থানীয় যুবকদের সাথে ভলিবল খেলেন একই সাথে যুবকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় খেলার সামগ্রী উপহার দেওয়ার আশ^াস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাসেল সরকার, উপজেলা মৎস্য অফিসার আরিফুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার শাহাব উদ্দিন, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জিনি চাকমা, ফটিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উষাতন চাকমা প্রমূখ।