মিশু মল্লিক
বাঙালি সনাতনীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুইজ, চিত্রাঙ্কন, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনিসহ নানান বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট রাঙামাট জেলা শাখা। শুক্রবার বিকেলে শহরের শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী মাতৃ মন্দির প্রাঙ্গণে এইসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি টুটুল দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল ত্রিপুরা, পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি সদর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সুব্রত দে, সনাতন যুব পরিষদ রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সভাপতি অজিত শীল, গীতা শিক্ষা সমন্বয় কমিটি রাঙামাটির সভাপতি উত্তম দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল সাহা, জগদ্ধাত্রী মাতৃ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মহাজনসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় বক্তা ছিলেন শ্রীশ্রী রাধা রাসবিহারী মন্দির ইসকন রাঙামাটির পরিচালক প্রচেতা কৃপা দাস ব্রহ্মচারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট রাঙামাটি জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি প্রিয়ম আইচ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনগুলো নানান প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। এটি একটি ভালো দিক। অপসংস্কৃতির চর্চা রোধে এই প্রতিযোগিতাগুলো দারুণ ভূমিকা রাখবে। যত বেশি সুস্থ শিল্প ও সাংস্কৃতিক চর্চা হবে, সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা ততই বাড়বে। পাশাপাশি ধর্মীয় এই প্রতিযোগিতাগুলোর মাধ্যমে ছোট সনাতনী শিশুরা নিজ ধর্ম সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে ছোটদের জন্য কুইজ ও চিত্রঙ্কন এবং মহিলাদের জন্য উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটির বিভিন্ন প্রান্ত হতে প্রতিযোগিরা এতে অংশ নেয়। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।