শ্যামল রুদ্র, রামগড়
খাগড়াছড়ির রামগড়ে দীর্ঘদিন ধরে অযতœ এবং অবহেলায় পড়েছিলো রামগড় বাজার হয়ে খাগড়াছড়ি প্রবেশমুখে ঢাকা-চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। সড়ক এবং জনপথ অধিপ্তরের আওতাধীন হলেও সড়কটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করেননি। জনগণের অসহনীয় ভোগান্তি এবং দুর্দশা দেখে পৌরসভার পক্ষ থেকে সংস্কার করে দিয়েছেন রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের রামগড় হয়ে খাগড়াছড়ি প্রবেশমুখে পাশেই রয়েছে কয়েকটি বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। সংস্কারের অভাবে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়। এখানে দুর্ঘটনায় ইতিপূর্বে প্রাণ হারায় দুইজন এবং আহত হয় অসংখ্য মানুষ। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছিল এই সড়কে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এ সড়কে সওজ অধিদপ্তর থেকে মাঝেমধ্যে কিছু নিম্ন মানের ইট দিয়ে মেরামত করা হয়। কয়েক দিন পর আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে। এ কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে থাকতো। পৌর মেয়র সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। নির্বিঘেœ মানুষ যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করে এখন।
বাস শ্রমিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এখান দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার যান চলাচল করে। এখানে আসলে গতি কমিয়ে দিতে হতো। সড়কের গর্ত পার হতে গেলেই মাঝেমধ্যে মালবাহী ট্রাক উল্টে যেত। এতে নানা পণ্যের ক্ষতি হতো। সড়ক সংস্কারের এই কাজটি পৌর মেয়রের সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথ বলেন, এই সড়কটি রামগড়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। মেরামতের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো। এই অবস্থায় পৌর মেয়র সড়ক সংস্কারে এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ পেতে পারেন। রামগড় দক্ষিণেশ্বী কালী মন্দির এর সামনের রাস্তাটিও পৌরসভার পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, বিভিন্ন সময় এই সড়কে প্রাণহানি এবং দুর্ঘটনা ঘটতো। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে মেরামত করলেও অল্প সময়েই নষ্ট হয়ে যায়। তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার করে দেয়া হয়েছে।