বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥
বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়েেন তংগোঝিরি পাড়া দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুন ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি গ্রাম পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার, লামা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রূপায়ন দেব, লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক ভুঁইয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের নতুন তংগোঝিরি পাড়ায় এসপি বাগান এলাকায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৮ পরিবারের বসবাস করতেন দীর্ঘদিন ধরে। পাড়াটির নাম দেয়া হয়েছিল তংগোঝিরি নতুন পাড়া। বড়দিনের উৎসব উপলক্ষ্যে মঙ্গলবাররাতে পাড়ার সকলেই পার্শ্ববর্তী তংগোঝিরি পাড়া গির্জায় প্রার্থনায় যায়। এসময় পাড়ায় কেউ না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা পাড়ার বসতঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়ায় পাড়ার ১৭টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে, ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে ইতিমধ্যে মামলায় সাত জন এজাহার ভুক্ত আসামির মধ্যে চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পাড়ায় ১৯টি পরিবারের মধ্যে ১৭টি ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। পুলিশসহ প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘুরে দেখেছি। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল, কাপড়, চাল, কিছু শুকনো খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে, যাদের ঘরবাড়ি ছিলো, তাদের ঘরবাড়ি তৈরিতে সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।