জিয়াউল জিয়া ॥
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক মো. মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্ততরে কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা বর্ষায় অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ জেলা হিসাবে বিবেচিত। প্রতি বর্ষায় এই জেলায় পাহাড় ধসের মত ঘটনা ঘটে। মাঝে মাঝে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে। এবছর যাতে কোন প্রাণহানি না ঘটে সে বিষয়টি গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ বলেন, যারা এই আলোচনা সভায় অংশ নেয়া জরুরি সেই সব সরকারি প্রতিষ্ঠান তারা কি সরকারি নির্দেশনা মানছেন না, নাকি দুর্যোগে সহযোগিতা করবেন? তাই এই বিষয়ে সে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান উপস্থিত হয় নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানান।
তিনি আরও বলেন, শহরে আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করা হলেও দূরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় না। সৃষ্টিকালীন সময়ে সড়ক যোগাযোগ যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় সেদিকে সড়ক বিভাগের সহযেগিতা চাওয়া হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, অতীতে অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। এবার সেটা হবে না। যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলার ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় সাইন বোর্ড দেয়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাকারীদের সচেতন করা হবে। বেশি বৃষ্টি হলে অবশ্যই যাতে সবাই নিটকতম আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করবে তাদের সব ধরনের ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, যেসব স্বেচ্ছাসেবক হিসেব কাজ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া সড়ক, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিসসহ সকল প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন। দুর্যোগের আগে ফসল যাতে কেটে ফেলা হয়, সেদিকে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে সেই নির্দেশনার দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ আরও বলেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যাতে এবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ রাঙামাটিতে না ঘটে। যদি তেমন ঘটনা ঘটে যায় তাহলে যাতে একটি প্রাণও যাতে ক্ষতি না হয় সেটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। দুর্যোগে শুধু সদরে না, দুর্গম উপজেলাগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় পুলিশ বিভাগ, বিটিসিএল ও জনস্বাস্থ্যের কোনও কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।