নিজস্ব প্রতিবেদক,বান্দরবান
পর্যটন শিল্পের বিকাশে বান্দরবানে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন টানেল সড়কের উদ্ধোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এগারো কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ৫শ ফুট লম্বা টানেল সড়কের ফলক উন্মোচন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলাম, বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহ আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, সাবেক বান্দরবান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম ইয়াছির আরাফাত জানান, টানেলটি পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন, যানজট নিরসন, বিকল্প সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। টানেলটি নির্মাণে এগারো কোটি টাকা ব্যয় হয়েছেম ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কাজটি শুরু হলেও দুই দফায় অর্থ বরাদ্দের পর ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলে ৩য় দফায় অর্থ বরাদ্দের পর নির্মাণ কাজ শেষ হয় চলতিবছর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পর্যটকরা বান্দরবানের বাসটার্মিনালে আসা-যাওয়ার পথে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতেন। পর্যটকদের জন্য সুন্দর ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বান্দরবানে সাড়ে চার একর জায়গা নিয়ে বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়। রাস্তার দু’পাশের পাহাড় রক্ষা, যানজট নিরসন, দুরত্ব কমানো ও পর্যটন জেলা বান্দরবানের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বান্দরবানে দৃষ্টিনন্দন টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই বান্দরবানের উপজেলাগুলোতে হাসপাতাল নির্মাণ, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, ১৪টি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ফায়ার সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।