জিয়াউল জিয়া ॥
কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্ক, শিলছড়ি গেইট, কামিলাছড়ি-আসামবস্তি সড়ক, রাইখালিসহ কয়েকটি এলাকার পাহাড়ে রয়েছে বন্য হাতির পাল। আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। আর যাত্রাপথেই মানুষেরও মুখোমুখি হচ্ছে হাতি।
হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসেন স্থাপিত হয় সোলার ফেন্সিং। মাত্র দেড় বছরেই অকেজো হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক এই বেড়া। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন পরিচর্যা অভাব আর নজরদারি না থাকায় চুরি হয়ে গেছে যন্ত্রপাতি। বিভিন্ন স্থানের ছিড়ে গেছে তার। কোন কোন স্থানে তারের সাথে তার রয়েছে পেঁচিয়ে। সোলার ফেন্সিংয়ের পিলার বেয়ে উঠেছে গুল্মলতা। কোথাও চুরি হয়ে গেছে পুরো সোলার বক্স, কোথাও বক্স থাকলেও নেই সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি। এসব কারণেই কাজ করছে না বৈদ্যুতিক বেড়া। এতে বেড়েছে বন্য হাতির উৎপাত। তবে সহসাই সোলার ফেন্সিং সচল করার উদ্যোগের কথা জানালেন বন বিভাগ।
স্থানীয়রা বাসিন্দা সমীর দে বলেন, ২০২২ সালে কাপ্তাইয়ে হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসেন সোলার ফেন্সিং স্থাপন করে বন বিভাগ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের খরচ হয় প্রায় কোটি টাকা। যার সুফল পেতে শুরু করেছিল স্থানীয় সাধারণ মানুষ। বন্ধ হয়েছিল লোকালয়ে হাতির আগমন।
স্থানীয়দের মো. শাহাব উদ্দিনের অভিযোগ বন বিভাগ সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না করায় অল্প দিনেই অকেজো হযে পড়ে ফেন্সিং সিস্টেমটি। মাঝে মধ্যেই হানা দিতে শুরু করেছে বন্য হাতির দল। মাস দুয়েক পরেই আম কাঠালের ভরা মৌসুম। সে সময়ে বন্য হাতির আক্রমণ আরো কয়েকগুণ বাড়ায় শঙ্কা।
রাঙামটির দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জার এএসএম মহিউদ্দিন বলেন, কাপ্তাইয়ে প্রশান্তি পার্ক থেকে জীবতলি এই আট কিলোমিটারে সোলার ফেন্সিং স্থাপন করা হয়েছিল। যার মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা ৩ কিলোমিটার সচল থাকলেও বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫ কিলোমিটার অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি আরও জানান, গত বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন স্থানে সোলার ফেন্সিং তারের ওপর গাছ পড়ে কয়েক স্থানে ছিড়ে গেছে। সেগুলো মেরামতের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সহসায় আবারও চালু করা হবে।