বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানে পুলিশি বাঁধায় সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশ করেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার বিকালে বান্দরবান আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য এবং একই সঙ্গে ভোট কারচুপি ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাকে সহিংসভাবে দমনের যেকোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ভিসা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা বলা হয়েছে। তারমানে হলো, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা কোনোটিই অর্জন সম্ভব নয়। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে না আনলে দেশের মানুষও আওয়ামীলীগকে নিষেধাজ্ঞা দিবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা শামীমা বরকত লাকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মিসেস মাম্যাচিং, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তুষার, জেলা বিএনপি নেতা আবিদুর রহমান, রিটল বিশ্বাস, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভপতি ছরোয়ার জামাল, সাধারণ সম্পাদক চনু মং, জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম, জাসাস সভপতি এ্যাড. মো. আলমগীর, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্যাচিং, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে গনসমাবেশে আগে বান্দরবান পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড এবং জেলার সাতটি উপজেলা ও তেত্রিশটি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয় সমাবেশস্থলে। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় বাঁধার মুখে স্টেডিয়ামে এলাকায় জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, গুম, খুন, মিথ্যাচার, মিথ্যা মামলা ও গায়েবি মামলার রাজনীতির মাধ্যমে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এখনো অব্যাহত রেখে আওয়ামীলীগ বড় ভুল করছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তারা সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের দলীয়করণকৃত কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে আজকে রাষ্ট্র চালাচ্ছে। জনগণের ভোট চুরি করে জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করছে। সেই জায়গায় চলে গেছে আওয়ামীলীগের নির্ভরশীলতা।