নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নানা আয়োজনে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার জীপতলী ইউনিয়নের ধনপাতা বনবিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে গৌতম বুদ্ধের জন্মতিথি ও বুদ্ধত্ব ও পরিনির্বাণ লাভ উপলক্ষে ধনপাতা বনবিহারের উদ্যোগে আয়োজনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা করা হয়। পরে বিহারে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে অষ্টশীল গ্রহণ, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান ও ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার। এছাড়াও আওয়ামীলীগের নেতা অভয় প্রকাশ চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপক চাকমাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
ধমীয় অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, বুদ্ধের সেই অমিয় ধর্মের বাণীগুলো বুকে ধারণ করে দেশ ও জাতি তথা বিশ্বের সকল প্রাণীর মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ বিভেদ ত্যাগ করতে হবে। সকল সম্প্রদায়কে মিলেমিশে বসবাস করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ করতে হবে। সরকার সব ধর্মের মানুষের জন্য সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন নন্দপাল মহাস্থবির ভান্তে। সন্ধ্যায় বৌদ্ধ ধর্মীয় বিহারগুলোতে ফানুষ উড়ানোর মধ্যে দিয়ে উদযাপন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
প্রসঙ্গত, বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অতি পবিত্রতম একটি দিন। এই দিনে অর্থাৎ বৈশাখী পূর্ণিমার পবিত্র তিথিতে মহামতি গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ভারতের বুদ্ধগয়ায় বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন এবং কুশীনগরে মহাপরিনির্বাণ বা মহাপ্রয়াণ লাভ করেছিলেন। বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপরিনির্বাণ একই দিনে হওয়ায় ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য শ্রেষ্ঠতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত।