জিয়াউল জিয়া॥
নানা কর্মসূচি মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
বীর শহীদদের স্মরণে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, চাকমা সার্কেল চিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিসহ
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অন্য দিকে সকাল ৯টায় রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে পুলিশ, আনসার, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণ করে। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা
হয়।
কুচকাওয়াজ শেষে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রাঙামাটি ছিলো গৌরবময় ভূমিকা। এই জেলার জনগন পাহাড়ি-বাঙালি এক সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন এবং শত্রুর প্রতিরোধ করেছেন। রাঙামাটির
নানিয়ারচরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে অসীম সাহসিতা দেখিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যুগে যুগে এই জাতি গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আরেকটি অধ্যায়। এই
আন্দোলনে নিহত ও আহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।