মেহেরাজ হোসেন সুজন, নানিয়ারচর ॥
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় আধুনিক প্যাকিং ব্যবস্থার প্রয়োগে আমচাষে এসেছে নতুন বিপ্লব। আধুনিক প্যাকিং পদ্ধতির কারণে ফলের বাহ্যিক সৌন্দর্য, গুণগত মান এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা এতটাই উন্নত হয়েছে যে, বাজারে প্রতি কেজি আমের দাম মিলছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
স্থানীয় সফল কৃষক কালো বিকাশ চাকমা জানান, আমার বাগানে প্রযুক্তিগতভাবে সেচ ব্যবস্থা, উন্নত পরিচর্যা ও আধুনিক প্যাকিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ফলের গুণগত মান অনেক ভালো হয়েছে। বিশেষ করে আমের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং সংরক্ষণের সময়কাল বেড়েছে। ফলে বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমার অধিকাংশ আমগাছ মাত্র দুই বছরে ফল দিতে শুরু করেছে। এটি আমার আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি আশপাশের কৃষকদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। দুই একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা এই মিশ্র ফলের বাগানে রয়েছে শতাধিক আমগাছ, যার মধ্যে আ¤্রপালি, গৌরমতি, ব্যনানা বার্মিজ ও বৈশাখী জাত উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি বাগানে রয়েছে বেল, মালটা, কলা, কফি, লটকন ও জাম্বুরাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ।
নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের উপজেলায় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে নতুন করে ৫২টি বাগান সৃজন করা হয়েছে। এসব বাগানে আমরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি, যাতে কৃষকরা উন্নত ফলন ও বাজারমুখী উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারে।
এই অঞ্চলে আধুনিক প্যাকিং ব্যবস্থার এই সফল প্রয়োগ শুধু একজন কৃষকের নয়, বরং গোটা নানিয়ারচর উপজেলায় কৃষি উৎপাদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের দৃষ্টান্ত।