এম. সুজন, নানিয়ারচর ॥
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলাতে বিদ্যুতের ৩০ হাজার ভোল্টের তার আড়াআড়িভাবে এপাশ ওপাশ করা হয়েছে যার ফলে নানিয়ারচরের জনসাধাণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সড়কের উত্তর পাশের দুটি খুঁটির তার খুলে দক্ষিণ পাশের একটি খুঁটির ওপর সড়কের আড়াআড়িভাবে লাগানো হয়েছে।
নানিয়ারচরের সদর বাজার সিএনজি স্টেশন যেখানে গেলো মঙ্গলবার দুপুর ১২টা হতে সন্ধ্যা ৬টা অব্দি টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে সড়কের উত্তর প্রান্তের দুটি বিদ্যুতের খুঁটির তার খুলে সিএনজি ও মোটরসাইকেল স্টেশনের উপর মূল সড়কে আড়াআড়িভাবে অপর পাশে দক্ষিণ প্রান্তের একটি খুঁটিতে সংযোগ দেয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের উপর আড়াআড়িভাবে ৩০ হাজার ভোল্টের তার জয়েন্ট দিয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, স্থানীয়রা বলছেন যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ঝড় কিংবা বাতাস পেলে জয়েন্ট ছিঁড়ে বিপদজনক ঘটনা ঘটতে পারে। দুই খুঁটির সংযোগ খুলে দূর হতে দু’পাশের দুটি খুঁটির তার ঝুলিয়ে এনে এক খুটিতে লাগানোর ফলে খুঁটিতে হালকা বাঁক এবং ঝুঁকিতে আছে দেখা যায়। এতে আতঙ্কেও আছেন স্থানীয় দোকানদার ও এলাকার লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, হাজারি তার সড়কে ঝুলে থাকার কারণে মালবাহি বড় গাড়ি চলাচলেও ঘটতে পারে বিপদ। তাই অতিসত্ত্বর তারগুলো পুনরায় সংস্কারের দাবি জানান।
সিএনজি চালক জানান, উত্তর পাশের দুটি খুঁটির তার দক্ষিণ পাশে একটিতে লাগানোর কারণে আমাদের এখানে সিএনজি রাখতে এবং চলাচল করতে খুবই ভয় হচ্ছে। আমরা পুনরায় বিদ্যুতের তারগুলো আগের জায়গায় দেখতে চাই।
কি কারণ বশত এই খুটির তার এপাশ হতে ওপাশ করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে মহালছড়ি বিদ্যুৎ অফিসের আড়ি আহসান উল্লাহর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন ধরেনি।
বিষয়টি নিয়ে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) জানান সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া জানান, আমি আমার উপজেলার অফিসের লোকজনদের মাধ্যমে তদারকি করি। বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে জনসাধারণের সমস্যা হলে পুনরায় তারা স্থাপন করে দিবে।
এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানায়, এই বিষয়টি জানতে পেরেই আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং হাজারি তার এপাশ ওপাশ করার বিষয়ে আমি বিদ্যুৎ বিভাগের আড়ি এর সাথে যোগাযোগ করি এবং তিনি চট্টগ্রামে আছেনএবং সেখান থেকে এসেই বিদ্যুতের খুঁটি তার পুনরায় স্থাপন করে দিবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।