জিয়াউল জিয়া ও মেহেরাজ সুজন
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮ নেতা কর্মীকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পদ হতে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করেছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ।
শনিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক হাজী মো. মুছা মাতব্বর স্বাক্ষরিত চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক আহম্মদ তালুকদার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর নানিয়ারচর উপজেলার ৮ নেতাকর্মীকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুন ভুঁইয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. আবু জাফর খাঁ, বুড়িঘাট ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক মো. মহিদুল ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. নুরুজ্জামান। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মৃধা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলম, সদস্য মো. সহিবুল ও ১নং বগাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক হাজী মো. মুছা মাতব্বর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্ত মূলক ভিডিও ও স্ট্যাটাস দেওয়ায় নানিয়ারচর উপজেলার আওয়ামী লীগের ৪ জন, যুবলীগের ৩ জন ও ছাত্রলীগের একজন নেতাকর্মী বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগের গঠিত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদন ও সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এসব ঘটনা ভবিষ্যতে সংগঠনের জন্য ক্ষতির কারন এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী আর কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলার মোট ৮জনকে সাংগঠনিক সকল পদ হতে সামায়িক ভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, সভাপতি দেশের বাহিরে থাকায়, দেশে ফেরার পর নানিয়ারচর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রেরণ করা হবে।
এই ঘটনায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল বলেন, আমরা জেলা আওয়ামী লীগ থেকে চিঠি পেয়েছি। আগামীকাল (রবিরার) জরুরী সভা ডেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এই বিষয়ে অব্যাহতি প্রাপ্ত নানিয়ারচর উপজেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুন ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের গ্রুপিং-এর কারণে আমাদের শায়েস্তা করার জন্য এই পদক্ষেপ । আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেয়া হয় নাই। আমরা জেলা আওয়ামীলীগের কাছে ন্যায় বিচার চাই।’