প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এর কর্মকৌশল, ভূমিকা এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পে সফলতাসমূহ তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং শিক্ষণীয় হিসেবে মাঠ পর্যায়ে রাঙামাটি নানিয়ারচর ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের চৈছড়ি পাড়ায় (মঙ্গলবার) এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্থ ও সহযোগী সংস্থা প্রোগ্রেসিভ এর মাধ্যমে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এর তথ্য কর্মকর্তা অম্লান চাকমা, এনজিও ফোরামের কর্মকর্তা রাফি, এডভোকেসি যোসেফ হালদার, প্রোগ্রেসিভ এর নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমাসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা বলেন, প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যাসমূহ এবং প্রয়োজনীয় চাহিদাসমূহ গ্রাম উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের আবেদনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ তার নির্দিষ্ট কর্মপরিধির মধ্য থেকে এবং চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে সুশাসন, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার সহিত সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এবং দুর্গম এলাকার জনসাধারণের নিরাপদ পানির প্রাপ্তি নিশ্চয়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পানি প্রযুক্তি (গ্রাভিটি ফ্লো সিস্টেম, স্প্রিং ওয়াটার কেপিং সিস্টেম, রিংওয়েল, ডিএপি) স্থাপন করা করে।
তিনি আরো বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে জনসাধারণ এবং সুশীল সমাজের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা এবং পরিষদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে উক্ত প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ ও স্থানীয় সরকারের নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় এলাকার সকল সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে আগামীতে যুগোপযোগী প্রকল্প গ্রহণে এবং বাস্তবায়নে সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে।
তিনি বলেন, এনজিও ফোরাম ও চৈছড়ি গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় এই গ্রামে পানি সরবরাহের কাজ সম্ভব হয়েছে। ২০১৩ সালে এসে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রগ্রেসিভের সহযোগিতায় ঝরনার পানিতে পাইপের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে সরবরাহ করা শুরু হয়। এতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। আগামী ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্প শেষ হবে। এরপর এই কার্যক্রম স্থানীয় লোকজনের তত্ত্বাবধানে চলবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মূলত ইউনিয়ন পরিষদকে সম্পৃক্ত করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করি। আমাদের এসব কার্যক্রম দেখে ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা নেবে। চৈছড়ি গ্রামে এ পর্যন্ত কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থা কাজ করেনি।
শেষে উপস্থিত প্রতিনিধিগন প্রকল্পের সুবিধাভোগী, গ্রাম উন্নয়ন কমিটি এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিদের সাথে প্রকল্পের সফলতার কৌশল সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করে চৈছড়ি গ্রামে স্থাপিত গ্রাভিটি ফ্লো সিস্টেমের মাধ্যমে পানি সরবরাহের প্রযুক্তিগুলো পরিদর্শন করেন।