নিরাপদ খাওয়ার পানি ব্যবহারের হার জাতীয় পর্যায়ে ৯৭.৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৭ শতাংশ হলেও রাঙামাটি জেলায় এর হার মাত্র ৬০.৭ শতাংশ। দ্রুত এই হার বাড়ানো না গেলে নিরাপদ পানির অভাবে এই এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘কি ফাইন্ডিংস’ এর প্রকাশনা উৎসবে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘মাল্টি ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১২-২০১৩’ শীর্ষক এই সেমিনার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে আরো তুলে ধরা হয়, মাতৃ দুগ্ধ পানের হার রাঙামাটি জেলায় ৯৭.৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৫ শতাংশ ও জাতীয় পর্যায়ে ৯৭.১শতাংশ। আয়োডিন লবণ ব্যবহারের হার রাঙামাটি জেলায় ৭৪.১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৯.৩ শতাংশ ও জাতীয় পর্যায়ে ৫৪.৩ শতাংশ।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মোস্তফা জামানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার আমেনা বেগম। মা ও শিশু বিষয়ক বিভিন্ন সূচকের জাতীয়, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলার তুলনামূলক চিত্র পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ এমদাদুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক বলেন, এই জরিপ প্রতিবেদনটি সমাজের চিত্র। এর মাধ্যমে জাতীয় এবং অন্যান্য জেলার তুলনামূলক অবস্থান সহজেই বুঝা যায়। যে সকল সূচকে রাঙামাটি জেলার অবস্থান অনগ্রসর সে সব ক্ষেত্রে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক বলে জেলাপ্রশাসক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সমাজে বাল্য বিবাহ যথেষ্ট পরিমাণে সংঘটিত হচ্ছে। এই অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নিরাপদ পানি ব্যবহারে পিছিয়ে রাঙামাটি
পার্বত্য উন্নয়ন
2 Mins Read
Previous Articleমাটিরাঙ্গায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত
এই বিভাগের আরও সংবাদ
সম্পাদকঃ ফজলে এলাহী
নির্বাহী সম্পাদকঃ হেফাজত সবুজ
প্রধান কার্যালয়
পৌর মার্কেট, দ্বিতীয় তলা, পৌরসভা এলাকা, রাঙামাটি-৪৫০০
ফোন : ০১৭১৮৫৪৭৮৭৮, ০১৬১৮৫৪৭৮৭৮।
ইমেইল : pahar24news@gmail.com
পাহাড়ের সংবাদ
আমাদের সম্পর্কে
© 2025 All Rights Reserved pahar24.com. Developed by MicroWeb Technology.