মিশু মল্লিক
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সুষ্ঠভাবে উদযাপন, কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু কোরবানি এবং দ্রæত বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদুল ইসলাম, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় রাঙামাটি শহরে ৬টি বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি কোরবানির পশুর হাট সঠিকভাবে পরিচালনা, চাঁদাবাজি বন্ধ, ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ঈদগাহ সমূহ সাজসজ্জায় এবং মুসল্লীরা যাতে ঈদের নামাজ নির্বিঘেœ আদায় করতে পারে সেই ব্যাপারে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পশু কোরবানির জন্য রাঙামাটিতে ৪৩টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দেয়া আছে। নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে পশু কোরবানি করলে নিজ উদ্যেগে স্থানটি পরিষ্কার করে দেয়াসহ দ্রæত এবং ভালোভাবে বর্জ্য অপসারণ করে নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি পৌরসভার তিনটি টিম সর্বদায় মনিটরিংয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও কোথাও কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকলে পৌরসভার হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এবারের ঈদ উল আযহায় রাঙামাটির তবলছড়ি, বনরুপা, সরকারি কলেজ মাঠ ও ভেদভেদি ঈদগাহে সকাল সাড়ে সাতটায় এবং রিজার্ভ বাজার ও পুরান পাড়া ঈদগাহে সকাল ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাঙামাটি দারুস সালাম একাডেমী, দারুল উলুম মাদরাসা এভং গাউসিয়া কমিটি কোরবানির পশুর চামাড়া সংগ্রহ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।