জিয়াউল জিয়া
রাঙামাটিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের জেলা প্রশাসন নির্দেশনা দেয়া থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট বোট বিভিন্ন উপজেলায় ছেড়ে যাচ্ছে।
রবিবার সকালে রিজার্ভ বাজার বেলা ১২ টা পর্যন্ত কয়েকটি বোট ছেড়ে গেছে উপজেলাগুলোর উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। জেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল এর কারনে জানমালের নিরাপত্তার ৫ আগস্ট থেকে কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌযান বন্ধের নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন।
রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে থেকে সন্ধ্যায় ৬ পর্যন্ত ৬৪.০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সেই নির্দেশনা অমান্য কাপ্তাই হ্রদে চলছে বোট। যারাই ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে তাদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন ভাড়া। ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ যাত্রীদের।
যাত্রীদের অভিযোগ, ১৭০ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০ টা। লঞ্চ বন্ধ থাকায় বোটগুলো ভাড়তি ভাড়া আদায় করছে। লঞ্চ বন্ধ কিন্তু বোট চলছে ঠিকই।
মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছে মাইনী যাবো। কিন্তু এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। বোট চলছে কিন্তু ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুন। এতো ভাড়া দিয়ে কিভাবে যাব চিন্তা করছি। আবার উল্টো ফিরে যাওয়ার সুযোগ নাই। ছুটি নিয়ে এসেছে। বাধ্য হয়েই যেতে হবে।
আরেক যাত্রী মো. শফিক মিয়া বলেন, বোট চললে লঞ্চ চলাচলা অসুবিধা কোথায়। তাহলে বোটও বন্ধ করে দিত।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা লঞ্চ বন্ধ রেখেছি। এই বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। এগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের না।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানলাম দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।