ইয়াছিন রানা সোহেল, জিয়াউল জিয়া ও মিশু মল্লিক
অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে সেনা মোতায়ন করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। সোমবার রাঙামাটিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির দুই জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, অতীতের সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচেন সেনা মোতায়েন ছিলো। এবারও সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে এবং আমরা তা করবো। পার্বত্য এলাকায় বিশেষ এলাকা হিসেবে সেনা মোতায়েন রয়েছে। এখানে নতুন করে কিছু করা লাগবে না। কিন্তু সমগ্র দেশে অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সেনা মোতায়েন করা হবে। পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে বলা আছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রেরও যাতে অবৈধ ব্যবহার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫০টি দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আসার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা চাই আরো বেশি পর্যবেক্ষক দল আসুক এবং তারা নির্বাচন দেখুক। দেখে তারা বিশ্লেষণ করুক। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি বড় দল তারা নির্বাচনের বাহিরে আছে; যদি তারা বা তাদের সাথে সমমনা যারা আছেন, তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচন তফসিল পুনঃনির্ধারণ করার সময় এবং সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সে ধরনের কোনো প্রস্তাব এখনো আসেনি, যদি আসে তবে সেটা বিবেচনায় নেওয়া যাবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কে আসলো, কে আসলো না, সেটা কিন্তু আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের সঙ্গে ৪৪টি দল নিবন্ধিত আছে, নির্বাচনে অংশ নিবেন, সেজন্যই তারা নিবন্ধিত হয়েছেন। এখন কেউ যদি না আসে আমাদের কিছু করার নাই। এটা যে দল- তাদের নেতৃবৃন্দের ওপরে, তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের নির্দেশনা দেয়া আছে। এর ব্যতয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেটা করতে আমরা বাধ্য, সেই অনুযায়ী কাজ করছি। তবে অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগে কেউ যেন অপপ্রচার বা গুজব না ছড়ায় সেজন্য অনুরোধ করেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুজ্জামান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ির মুক্তা ধর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, রাঙামাটি সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন, সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসার, নির্বাচন অফিসারসহ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।