জিয়াউল জিয়া ॥
নির্বাচন আসলেই দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে যায় অভিযোগ করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আগে বা পরে একটি গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রবণতা বেড়ে যায়। এই সংকট হতে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন দীপন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও শ্যামল পালিত প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি ধর্মীয় জাগ্রত সংখ্যালঘু টার্গেট করে সহিংসতা চালায়। দেশে আজ পর্যন্ত কোন সহিংসতার বিচার হয় নাই। বিচার না হওয়ার কারণে সংখ্যলঘু নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে দেশের নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে পরাশক্তিগুলো রাজনীতি করছে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। পরাশক্তির যে রাজনীতি বাংলাদেশকে নিয়ে হচ্ছে এই ব্যাপারেও সজাগ থাকার আহ্বানও জানানো হয় সম্মেলন থেকে।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, আমাদের সংবিধান বলছে, বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে এদেশের জনগণ। সংবিধানে মালিকানা এবং ভোট দেয়ার যে অধিকার, সরকার গঠনের যে অধিকার, এই অধিকার বাংলাদেশের জনগণের হাতে থাকবে কিনা, এবং থাকছে কিনা?
কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার পরও কোন অগ্রগতি দেখছি না। নির্বাচনের আগে দাবিগুলো বাস্তাবয়নের জোর দাবিও জানান তিনি।
সম্মেলন শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।