বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥
বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফের) সংঘর্ষে কমান্ডারসহ নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- রুমা মুয়ালপি পাড়ার বাসিন্দা ক্যাপ্টেন সাংমিন বম প্রকাশ পুতিন (২৭) এবং মুন্নুয়াম পাড়ার বাসিন্দা লাল হিমসাং বম (২৫)। নিহত সাংমিন বম কেএনএফ সশস্ত্র গ্রুপের ৯ সদস্যের একটি টিমের কমান্ডার ছিলো জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী জানান, শুত্রবার ময়নাতদন্তের পর সেনা অভিযানে নিহতদের দুজন সন্ত্রাসীর লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে রুমায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের দাফনের কাজও সম্পন্ন করেছে পরিবার।
এদিকে কেএনএফ সঙ্গে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ঘটনাস্থলসহ রুমা উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুর্গম মুয়ালপি পাড়া ও লাইরুনপি পাড়াসহ আশপাশের এলাকার পাড়াগুলোর লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রুমায় যাতায়াতকারী পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী ও প্রশাসন থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রুমা উপজেলা সড়ক এবং দর্শণীয় পর্যটন স্পট বগালেক কেওক্রাডং চূড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোরে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে পলি প্রাংসা ও মুয়ালপি পাড়ার মাঝামাঝি ১৬ কিলোমিটার দূরে তাইদং ঝিরি এলাকায় নাইতং পাহাড় এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট আস্তানায় পৌঁছালে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় সেনাবাহিনী সঙ্গে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল তল্লাশি করে কেএনএফের পোষাক পরিহিত দুইজনের লাশ দেখতে পায়। এসময় ঘটনাস্থল কেএনএ আস্তানা থেকে থেকে তিনটি এসএমজি অস্ত্র, একটি রাইফেল, আটটি ম্যাগাজিন, কেএনএ’র ইউনিফর্ম, বিপুল পরিমাণে অস্ত্রের গুলি, আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম, চাঁদার রশিদসহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।