জিয়াউল জিয়া
সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের নামে ইউপিডিএফ তাদের দেশি-বিদেশি ইন্ধনদাতাদের টাকায় সাধারণ পাহাড়ি ছাত্রদের দিয়ে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে দাবি সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি ডা. গঙ্গা মানিক চাকমা’র। শনিবার রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের এমন কর্মকান্ডের জন্য পার্টি (জেএসএস) পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাদের (ইউপিডিএফ) কে বুঝতে হবে আমরা সবাই পাহাড়ে শান্তিতে থাকতে চাই। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনও বিকল্প নাই। স্থানীয় ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে জেলা পরিষদ সমূহের নির্বাচন, স্থানীয় পুলিশ বাহিনী গঠন করাসহ চুক্তির মৌলিক ধারা গুলো বাস্তবায়ন করা না গেল পাহাড়ে শান্তি আসব না।
রাঙামাটি রিজিয়নের প্রান্তিক হলে জেলার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে গণমাধ্যমকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। কোন অবস্থায় পরিস্থিতি অবনতি করা যাবে না। যারা চেষ্টা করবে তাদের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আমরা সবাই সম্প্রতি চাই। কোথাও যেনো ছন্দপতন ঘটছে। ছন্দপতনে সবাই একটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন, সেটি হলো ষড়যন্ত্র। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাহির থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ প্রধান মইনুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক মামুনুর রশিদ, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির জেলা কমিটির সভাপতি ডাক্তার গঙ্গামানিক চাকমা, জাতীয়পার্টি জেলা কমিটির সভাপতি হারুন মতব্বর,জামায়াত আমির মো. আলিম, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ চেয়ারম্যান কাজি মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন, পরিবহন মালিক শ্রমিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ বক্তব্য ও পরামর্শ তুলে ধরেন।