অপু দত্ত, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের পাশাপাশি তিনটি পাড়ার নাম হলো কলেজ পাড়া, উপালি পাড়া এবং তালুকদার পাড়া। কলেজ পাড়া ও উপালি পাড়া মূলত পাহাড়ি অধ্যুষিত এবং তালুকদার পাড়া বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে। এমন অবস্থায় এ তিনটি পাড়ায় পাহাড়ি-বাঙালি মিলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার লোকজন।
ইতোমধ্যে তিন পাড়ার পাহাড়ি-বাঙালিদের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে একটি সম্প্রীতি সভা করেছেন। যেখানে যেকোনো পরিস্থিতিতে এলাকায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। শুধু এই তিন পাড়ায় নয়; জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি মিলে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সভা করা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আহ্বান জানান।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সুধীন কুমার চাকমা বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে পাহাড়ি-বাঙালি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের বিকল্প নেই। যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ধরে রাখতে হবে। প্রত্যেক পাড়ায় সম্মিলিতভাবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণœ রাখা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পাড়ায় সম্প্রীতি সভা করার বিষয়টি জানিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ছবি পোস্ট করছেন। এছাড়া অন্য পাড়াগুলোতে এমন উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়।
জামাল উদ্দিন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, পাড়ায় পাড়ায় সম্প্রীতি সভা করে সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া সম্ভব। এতে মানুষের মধ্য সচেতনতা, আস্থা বিশ্বাস বাড়বে। পাহাড়ি- বাঙালি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।
এদিকে খাগড়াছড়িতে নতুন করে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার দুপুর থেকে জারি করা ১৪৪ ধারা রাত ৯টা পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
এদিকে ৭২ ঘণ্টা অবরোধ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় বলে জানা গেছে। এতে সমর্থন দিয়েছেন প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।