পানছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সীমানা প্রাচীর নির্মান করায় মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাদ্রাসা গেইট সংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের, মো: সেলিম হোসেন জানান,আমাদের জন্মের অনেক আগে থেকে এই মাদ্রাসার পেছন দিয়ে এলাকার মানুষজন চলাচল করে আসছে। আমরাও এই রাস্তা দিয়ে জন্মের পর থেকে চলাচল করে আসছি। মাদ্রাসার জমিদাতা এই মাদ্রাসায় জমি দান করার সময় আমাদের এই রাস্তার ওপর চলাচলের জন্য অলিখিত ভাবে বলে গেছেন। এটা এলাকাবাসীসহ অনেকে জানেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র করছে। আমরা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারসহ আমাদের রাস্তা চলাচলের দেয়াল অপসারণ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম জানান, প্রতিষ্ঠানটি দাখিল পর্যায়ে শুরু হলেও বর্তমানে আলিম শ্রেণীতে উন্নিত করণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এলাকাবাসীদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে শুরু থেকেই মাদরাসার ক্রয়কৃত জমির পূর্বপাশ দিয়ে ৯ ফুট চওড়া রাস্তা রেখেই বাউন্ডারী ওয়াল করা হয়েছে। সেদিক দিয়েই এলাকাবাসী যাতায়াত করেন। কেন্দ্রস্থিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি নির্দেশনানুযায়ী সীমানা প্রাচীর আবশ্যক। আংশিক সীমানা প্রাচীর না থাকায় মাদ্রাসার ওপর দিয়ে এলাকার লোকজন প্রায় সময় যাতায়াত করতো। তাতে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটতো। সেই অসমাপ্ত আংশিক সীমানা প্রাচীর সরকারী অর্থে নির্মান করা হয়। নবনির্মিত সীমানা প্রাচীরটি প্রতিবেশীরা জোরপূর্বক ভেঙ্গে দিয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোমিন জানান, মাদরাসার ক্রয়কৃত ভূমি থেকে আগে থেকেই এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য পূর্বপাশে ৮ ফুট রাস্তা দিয়েছে, সেখানে প্রতিষ্ঠানের ভিতর দিয়ে চলাচলের প্রশ্নই আসে না। ইতিপূর্বে মাদ্রাসার পিছনে বসবাসকারী ৪ পরিবার বিএনপি-জামাতের সাথে মিলে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে। সেখানে একটা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষায় যা করা প্রয়োজন তাই করতে হবে। সরকারি কাজে বাধা ও মাদ্রাসার দেয়াল ভেঙ্গে তারা অপরাধ করেছে।