দীঘিনালা প্রতিনিধি
দীঘিনালার দুর্গম মিলন কার্বারি পাড়াবাসির দীর্ঘদিনের পানির কষ্টের সমাধান হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ মাত্র ১লাখ টাকা ব্যায়ে এ সমস্যার সমাধান করেছে। এতে প্রচন্ড খুশি ত্রিপুরা অধ্যুষিত পাড়াবাসি। এর সুফল ভোগ করবে সেখানের প্রায় শতাধীক পরিবার।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ১নম্বর মেরুং ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নয়মাইল এলাকার মিলনকার্বারী পাড়া। ত্রিপুরা অধ্যুষিত পাড়াটির অধিকাংশই হতদরিদ্র এবং জুমচাষের ওপর নির্ভর তাদের জীবিকা। পাড়াবাসির খাবার পানির উৎস ছড়া ও ঝিরির পানি। পাহাড়ের পাদদেশেও পাথড় থাকায় কুয়া বা নলকূপও স্থাপন করা সম্ভব হয়না। আর পাহাড়ের ওপর বসবাসকারী পাড়াবাসির খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় অনেক দুরের ঝিরি ও ছড়া থেকে। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগে এ পানি বহন করে নিয়ে আসতে।
এমন পর্যায়ে এলজিএসপি’র অর্থায়নে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ মাত্র এক লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে “বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ” প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। শনিবার বিকালে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ভুবন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি।
মাহমুদা বেগম লাকি জানান, এ পাড়ার পানির সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি কালের কন্ঠকে জানান, পাহাড়ের পাদদেশে পাথড় কেটে কুয়া তৈরি করে সেখানে বিশুদ্ধ পানির উৎস সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখান থেকে সাবমার্সিবল মটারের সাহায্যে পানি উঠানো হচ্ছে পাড়ায় পাহাড়ের চূড়াতে। পাড়ায় দুই দিকে দুইটি ট্যাংকিতে পানি সংরক্ষন করা হচ্ছে। সে ট্যাংকি থেকে পাড়ার বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনমতো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে যাচ্ছেন। এতে এ পাড়ার প্রায় শতাধকি পরিবার এর সুফলের আওতায় এসেছেন। এতে সর্বমোট এক লাখ টাকার কিছু ব্যয় হয়েছে।
উদ্বোধনের দিন দেখা গেছে ট্যাংক থেকে কলসি ভরে পানি নিয়ে যাওয়ার সময় চৈতালি ত্রিপুরা জানান, আগে এত দূর থেকে পানি আনতে হতো যাতে সময় লাগতো অনেক বেশি এবং কষ্টও হতো প্রচুর। এমন ঘরের কাছেই পানি সংগ্রহ করা যাবে তা আগে কল্পনাও করা হয়নি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ পাড়াবাসির পানির কষ্ট দূর হয়েছে।