সাইফুল হাসান ॥
পার্বত্য অঞ্চলের উদিয়মান খেলোয়াড়রা শুধু এ জেলা নয় বিশ্বের মাঝে দেশের নাম মর্যাদার সাথে উজ্জ্বল করেছে। এ অঞ্চলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসে। সরকারও চাই খেলাধুলায় সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়ে খেলোয়াড় তৈরি করতে। তাই তো প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার শহর আমার গ্রাম’কে বাস্তবায়ন করতে দেশের ১৮৬টি উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে আজকে রাঙামাটির চারটি উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সামনে বাকি আরও বেশ কয়েকটি উপজেলায়ও এ মিনি স্টেডিয়াম করা হবে। যাতে করে প্রান্তিক উপজেলা হতেও যেনো মানসম্মত খেলোয়াড় উঠে আসে।
৫০তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া (গ্রীষ্মকালীন) ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
শুক্রবার বিকালে রাঙামাটি চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহরুফ আহম্মেদ। সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৃদুল কান্তি দে, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নিরূপা দেওয়ান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে দূর দূরান্ত উপজেলা থেকে খেলোয়াড়রা খেলতে আসে কিন্তু তাদের থাকার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। তাই আমি চেষ্টা করবো একটি আবাসিক হোস্টেল তৈরি করা যায় কি না। প্রয়োজনে আমি শুরু করে যাবো পরর্বতীতে যেই আসুক সে যেনো কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারে। এছাড়া চিংহ্লামং মারী স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ণ গ্যালারি নির্মাণের ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে ফাইনাল খেলায় বালক দলে মুখোমুখি হয় জুরাছড়ির সুবলং খাগড়াছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। টানটান উত্তেজনাময় খেলায় কোন দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোল দিতে না পারায় ট্রাইবেকারে গড়ায় খেলা। পরে ট্রাইবেকারে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এক গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করেন।
অন্যদিকে বালিকা দলের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হন কাউখালি উপজেলা এবং রানার্সআপ হন জুরাছড়ি উপজেলা বালিকা দল।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা বালক ও বালিকা দলের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ হওয়া দলদের মাঝে ট্রফি তুলে দেন। এছাড়া পুরস্কার বিতরণীর আগে মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করা হয়।