নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন- পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে মর্যাদার সাথে সম্মানের সাথে চলাফেরা করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এখানকার মানুষ স্বশিক্ষিত, সুশিক্ষিত হোক এটাই আমরা চাই। এজন্য সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেটা অত্যন্ত জরুরি। মেধা ও মননশীলতা বিকশিত করতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই কর্ম তৎপর হতে হবে। নিজেদের ভিত্তি সুদৃঢ়ভাবে গড়তে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রো বেটার লাইফ (পিবিএল) বাংলাদেশ আয়োজিত সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাঙামাটি শহরের বনরূপায় প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কম্বো কোর্সের সনদ বিতরণ করা হয়।
প্রো বেটার লাইফের (পিবিএল) চেয়ারম্যান প্রফেসর রণ জ্যোতি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ পুরবী খীসা তন্দ্রা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী নন্দিতা খীসা।
নারীনেত্রী নুকু চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান আরো বলেন- আমি তিনটি বিষয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রথমটা হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা, উন্নত জীবন- জীবিকা, পরিবেশ সুরক্ষা ও উন্নয়ন। এজন্য সবার সহযোগিতা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের একে-অপরের মধ্যে ভাল ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কাজে জোর দিতে হবে। নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রেখে মুলধারার জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়ে নিজেদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে হবে। এখানে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। গুণগত মানের বা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক দরকার। সেদিকে সবার দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন- পরীক্ষায় প্রশ্ন যাই আসুক অন্তত দুই লাইন লিখে দিতে হবে। আত্মবিশ^াসের সঙ্গে পড়ালেখা চালিয়ে নিতে হবে। সফলতা এমনিতে আসে না। সফলতা অর্জন করতে চাইলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে নিজের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হয়। কর্ম তৎপরতার মধ্যে থেকে মেধা ও মননশীলতা বিকশিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মা, বাবা ও গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সর্বদা সৎপথে চলতে হবে। কর্মজীবনে সততার মধ্যে উপার্জন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর রণ জ্যোতি চাকমা বলেন- সফলতামুখী নতুন প্রজন্ম সৃষ্টির লক্ষে কিশোর কিশোরীদের জন্য সাফল্যের তারকা কর্মসূচি, বাবা মায়েদের জন্য পজেটিভ প্যারেন্টিং কোর্স, শিক্ষকদের জন্য ট্রেনিং অফ টিচার্স, লেখাপড়া হবে খেলা পড়া প্রভৃতি কর্মসুচি সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করে চলেছে প্রো বেটার লাইফ।
উল্লেখ্য এ বছর প্রো বেটার লাইফের উদ্যোগে ২৮ শিক্ষার্থীকে কম্বো কোর্সের সনদপত্র বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণ শেষে উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও অতিথিরা পিবিএলের কম্পিউটার ল্যাব, গবেষণা কক্ষ, স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্টোর ও বিভিন্ন ইভেন্ট পরিদর্শন করেন।