বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥
বান্দরবানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠনের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। কৌশলে সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে পালিয়ে ফিরলো অপহৃত ইটের ভাটার ম্যানেজার। বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যয়ামলং এলাকা থেকে অপহৃত ইটভাটার ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফ কৌশলে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে এসেছে। খবর পেয়ে পেয়ে বুধবার দুপুরে সোনাইঝিড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে ম্যানেজারকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে অপহরণের সাথে জড়িত পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের এক যুবককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার তথ্যের ভিত্তিতে সশস্ত্র সংগঠনের আরও ২ জন সদস্যকে অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটকরা হলেন- খাগড়াছড়ির মংক্যচিং মারমা (২৩), লক্ষীছড়ির সালাউ মারমা এবং মানিকছড়ির চারিং মারমা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপটি পাহাড়ের সশস্ত্র মূল সংগঠনগুলো থেকে বিভক্ত বিচ্ছিন্ন একটা গ্রুপ। গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের কখনো জেএসএস, কখনো সংস্কার এবং কখনো ইউপিডিএফ নামেও পরিচয় দেন। মূলত গ্রুপটি ক্যায়ামলং, কুহালং, রাজবিলা এলাকাগুলো ভিন্ন নাম ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে। লোকজনদের ধরে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মংপু মারমা জানান, মঙ্গলবার রাতে নয়টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ক্যয়ামলং এলাকায় বিএনপি নেতা মুকসুদ কোম্পানির ইটভাটায় ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালায়। অপহৃত ম্যানেজার কৌশলে সন্ত্রাসীদের আস্তানা পালিয়ে চলে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর জানান, অপহৃত ম্যানেজারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ইতিমধ্যে জড়িত তিনজনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। এদের আস্তানা থেকে চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, অনেকগুলো মোবাইল ফোন’সহ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।